বিএমডব্লিউ, মার্সিডিস বেঞ্জসহ ধ্বংস করা হবে ৮২ গাড়ি

Passenger Voice    |    ১২:১২ পিএম, ২০২৩-১২-২৮


বিএমডব্লিউ, মার্সিডিস বেঞ্জসহ ধ্বংস করা হবে ৮২ গাড়ি

চট্টগাম বন্দরের শেডে বছরের পর বছর অকেজো হয়ে পড়ে থাকা ৮২টি গাড়ি ভেঙে স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে এসব গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী বলে প্রতিবেদন পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে গাড়িগুলো কখন স্ক্র্যাপ করা হবে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু জানায়নি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাস্টমসের অদক্ষতার কারণে সময়মতো গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়নি। এতে কাস্টমসের শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, গাড়িগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে জায়গা দখল করে রাখায় সেখানকার স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, বিদেশি বিশেষ ব্যক্তি, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিভিন্ন দেশের নাগরিক, কূটনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক কারনেট ডি প্যাসেজ বা বিশেষ পর্যটন সুবিধায় বিভিন্ন সময়ে দেশে ১২১টি দামি গাড়ি নিয়ে আসেন। এসব গাড়ির মধ্যে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টার পাশাপাশি মামলাসহ নানা জটিলতায় আটকে যায় ৮২টি গাড়ি। এসব গাড়ি ধ্বংস করা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় বিভিন্ন দেশ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ১২১টি গাড়ির মধ্যে ২৬টি মিত্সুবিশি, ২৫টি মার্সিডিস বেঞ্জ, ২৫টি বিএমডব্লিউ, সাতটি ল্যান্ড রোভার, সাতটি ল্যান্ড ক্রুজার, একটি সিআরভি, ছয়টি লেক্সাস, পাঁচটি ফোর্ড, তিনটি জাগুয়ার, একটি দাইয়ু, একটি হোন্ডাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে।

কাস্টমস আইন অনুযায়ী, বন্দরে আসার ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস নিতে হয়। এর মধ্যে না নিলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকারককে নোটিশ দেয়। এর ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না করালে নিলামে তোলে কর্তৃপক্ষ। প্রতি মাসে একবার নিলাম আয়োজন করে কাস্টমস। কিন্তু গাড়িগুলো বহুবার নিলামে তুলেও বিক্রি করা যায়নি। 

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, এখানে ৪০ বছরের পুরনো গাড়িও রয়েছে। বহুবার নিলামে তুলেও এসব গাড়ি বিক্রি করা যায়নি। তিনি বলেন, বিআরটিএর সুপারিশ অনুযায়ী কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এখন এই গাড়িগুলো স্ক্র্যাপ করবে। পরে নিলামে এসব বিক্রি করা হবে।


সূত্র: কালের কণ্ঠ

প্যা/ভ/ম